ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের আয়োজনে ‘করোনাকালীন শিক্ষণ ঘাটতি ও মনোসামাজিক পরিচর্যা’ বিষয়ক এক দিনব্যাপী কর্মশালা শনিবার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সারাদেশের বিভিন্ন কলেজের শতাধিক অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভুঁঞা। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এবং স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্পোরেট সোসাল রেসপনসিবিলিটির আওতায় করোনা কালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্তা সক্রিয় রাকা এবং শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখার লক্ষ্যে অনলাইনে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই কর্মশালা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কর্মশালা, মুক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনীপর্বে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি প্রথ প্রদর্শক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও দশ বছর আগে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু রয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, মানবজীবনে সবকিছুতেই ঘাটতি রয়েছে। আমরা কেউ শতভাগ পারফেক্ট না। এখন ঘাটতি দেখা দিয়েছে আমার শিক্ষাক্ষেত্রে। কারণ গত দেড় বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। তবে এই শিক্ষণ ঘাটতি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন প্রফেসর নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষণ ঘাটতি তথা পড়াশোনার ক্ষেত্রে যে ঘাটতি হয়েছে, তা যেকোনোভাবেই হোক আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। কিš‘ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সামাজিক ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন। এই সামাজিক ঘাটতি পূরণের দিকে মনোযোগী হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষকদেরকে আহ্বান জানান। প্রফেসর নেহাল আহমেদ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটি সময়পোযোগী কর্মশালা আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, সময়ের সঙ্গে নিজেদেরকে পরিবর্তন করার এক চরম শিক্ষা দিয়েছে করোনা মহামারী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন শিক্ষার জগতে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে এই মহামারীর কারণে। প্রফেসর আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঘাটিত তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতেই সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা দরকার। প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভুঁঞা বলেন, করোনা না এলে অনলাইন শিক্ষার জগতে প্রবেশ করতে আমাদের হয়তো আরও বেশি সময় লাগত। এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি