ভারত ও নেপালে আকস্মিক ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দেড়শ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ভারতের কেরালা ও উত্তরাখণ্ডে প্রাণ হারিয়েছে ৮১ জন। আর নেপালে এ সংখ্যা ৭৭। শনিবার পর্যন্ত ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে ফ্লাইট বাতিল এবং পাহাড় ধ্বসের কারণে উত্তরবঙ্গে আটকা পড়েছেন বহু পর্যটক।
জুনের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত- নেপালে বর্ষা। এসময়ে বন্যা-ভূমিধস প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এবার অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দেশটি।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার পশ্চিমের গ্রাম সেতিতে দুদিন ধরে পানিবন্দি অর্ধশতাধিক। বৈরি আবহাওয়ায় এগুচ্ছে না উদ্ধার কাজ। বন্যা-ভূমিধসে বেশি ক্ষতি হয়েছে পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের সমতল এলাকাগুলো। সেখানে তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, ভেসে গেছে সেতু, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। ভূমিধসে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।
বন্যা-ভূমিধসের মধ্যেই দেশটির পূর্বের পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নাজেহাল ভারতের কেরালা ও উত্তরাখণ্ড রাজ্য। ভূমিধসে পর্যটনকেন্দ্র নৈনিতালের সঙ্গে যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন উত্তরাখণ্ডের। এতে আটকা পড়েছে অনেক পর্যটক। চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
আরব সাগরে নিম্নচাপের কারণে কেরালায় অব্যাহত আছে বৃষ্টি। বেহাল উত্তরবঙ্গও। তিস্তাসহ পানি বাড়ছে নানা নদনদীর। দার্জিলিং, কালিম্পঙ ও আলিপুর দুয়ারে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে কমলা এবং মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
দার্জিলিং-কালিম্পঙে পাহাড়ধসে সমতলের সঙ্গে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থায় পাহাড়ি এলাকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।