বরগুনা তালতলী উপজেলার কড়ই বাড়িয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বাবা ও মেয়ের দাখিল পরীক্ষার পাশের ব্যবধান এক বছরের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তালতলী উপজেলার কড়ই বাড়িয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আব্দুস সবুর জাল-জালিয়াতি ও অর্থের বিনিময় ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী জান্নাতি ও তার বাবা মনির হোসেনকে রেগুলার ছাত্র দেখিয়ে ২০১৩ সালে দাখিল পাশ করান পরের বছর মেয়ে জান্নাতি কে ২০১৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় পাস করান এতে দেখা যায় বাবা মেয়ের দাখিল পাসের ব্যবধান এক বছর। আল আমিন মিয়া ২০০৫ সালে অষ্টম শ্রেণী পাস দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে দপ্তরি পদে নিয়োগ পান।
পরবর্তীতে সুপার আব্দুল সবুর টাকার বিনিময় দপ্তরি আলামিনকে ঐ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ছাত্র দেখিয়ে ২০১৩সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করে আলামিন দপ্তরি পদে ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
এদিকে মাহফুজা মোবাসিরা নামে অস্টম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে জন্ম তারিখ ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেন। স্থানীয়রা বলেন গত বছর এই প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র মেরামত করার জন্য এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা বরাদ্দ হয় কিছু টাকার কাজ করে বাকী টাকা সুপার সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ কে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। ভুয়া ভোটার তালিকা করে সভাপতি নির্বাচিত করেন সুপার। প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট অনিয়ম অপকর্ম রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান সুপার মাওলানা আব্দুস সবুর বলেন, ভুলত্রুটি হতে পারে আমি কমিটির চাপের মুখে আছি কিছু সহকারী শিক্ষকদের নির্দেশে চলতে হয় এ ছাড়া আমার কোন উপায় নেই।