ময়মনসিংহের ত্রিশালে দাঁড়ানো ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশাকে একটি বাস ধাক্কা দিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশাল উপজেলার নওধার জিরো পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হেমেন্দ্র সূত্রধর (৫৮) ও বাসচালক জুয়েল মিয়া (২৩)। হেমেন্দ্র সূত্রধর ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা ইউনিয়নের পাগলার বাজার এলাকার বাসিন্দা ও মনিন্দ্রের ছেলে। আর নিহত বাসচালক জুয়েল মিয়া জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গাঙ্গীনারপাড়ের বাসিন্দা এবং সেলিমের ছেলে।
আহত ১১ জনই ওই বাসের যাত্রী। তাদের পরিচয় জানা জানা যায়নি। ওই ১১ বাসযাত্রীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি পাশেই কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকট একটি শব্দে চোখ পড়ে ওই দিকে। দেখি, ময়মনসিংহগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিকে ধাক্কা দিয়ে উপড়ে ফেলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি উল্টে পড়ে। এভাবে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাস, ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সিএনজি অটোরিকশা ও ট্রাকে কোনো যাত্রী না থাকায় হতাহত কম হয়েছে।
গাড়িতে থাকা যাত্রী আকলিমা খাতুন বলেন, আমারা এই উপজেলার বগার বাজার থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য উঠেছিলাম। চালক বেশ কয়েকটি গাড়িকে ওভারটেক করে এসেছে। বাসে থাকা কয়েকজন যাত্রী তাকে আরও কম গতিতে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করলেও সে তা শুনেনি। এই জায়গা একটি মোড় থাকায় সব গাড়িই গতি কমিয়ে অতিক্রম করে। কিন্তু এই চালক তা করেনি।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটগামী ইমাম পরিবহনের একটি বাস রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে উল্টে যায়।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত আরও ১১ বাসযাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।