আজ ৩ জানুয়ারি, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
তিনি এক কন্যার জনক ছিলেন। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই সৈয়দ আশরাফ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে ও কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন হবে।
সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ‘সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি পরিষদ’। অন্যদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সৈয়দ আশরাফের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামী লীগ। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।