পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের অগ্রিম টিকিট কেনার চাপ নেই দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে বাসের ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি। এদিন টিকিট কেনার জন্য উত্তরাঞ্চলমুখী গাবতলী শ্যামলি এলাকার কাউন্টারগুলোতে মানুষের কিছুটা ভিড় থাকলেও সায়েদাবাদের কাউন্টারগুলো ছিল পুরাই ফাঁকা।
শুক্রবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও আশপাশের কাউন্টারগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় কাউন্টারগুলোতে দুই-একজন নিয়মিত যাত্রী বসে আছেন। কাউন্টারের কর্মরতরা নিয়মিত যাত্রী তুলতে হাকডাক দিচ্ছে। এসময় কাউকে ঈদের আগাম টিকিটের খোঁজ করতে দেখা যায়নি।
কাউন্টারগুলো বলছে, এই রুটে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। তাই যাত্রীর চাপ অনেকটা কম থাকে। এজন্য অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের ভিড় নেই।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে কর্মরত জাহিদ হাসান জানান, ‘এই রুটে ঈদের ঘরমুখী যাত্রীদের খুব একটা চাপ থাকে না। ঈদের দুই-চার দিন কিছুটা চাপ থাকে, সেটাও তত বেশি না।’
হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে কর্মরত একজন বলেন, ‘আমাদের এই রুটে চলাচলের জন্য অনলাইন, কাউন্টার দুইভাবেই টিকিট বিক্রি চলছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় কাউন্টারে চাপ কম থাকে। মানুষ অনলাইনেই বেশি টিকিট কিনছে। যে আগে টিকিট করে রাখে সে ভালো সিট পায়।’
এদিকে সায়েদাবাদ এলাকার অন্যান্য বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কাউন্টারেই যাত্রীদের লাইন নেই। দুই একজন করে যাত্রী মাঝে মাঝে এসে নিয়মিত টিকিট ক্রয় করছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য বাসের আগাম টিকিট বিক্রি আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ টিকিট বিক্রি চলবে। এ জন্য প্রত্যেকটি পরিবহনের আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে। তবে বিআরটিসি আগাম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেবে আগামী সপ্তাহে।
এদিকে, ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। টিকিট স্টেশনে কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি হবে। সোমবার (১১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।