দলত্যাগ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক এমপিরা মাজারির ওপর চড়াও হন এবং তার চুল ধরেও টানা হেঁচড়া করেন। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, মাজারিকে ইমরানের দলের এমপিরা থাপ্পড় এবং কিল-ঘুষি মারছেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন।
পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা বলেন, তারা দলের ২৪ জন ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দিতে দেবেন না। ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের এই সদস্যরা পিটিআই ত্যাগ করে বিরোধীদের জোটে যোগ দিয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, বিশৃঙ্খলা আর হট্টগোলের পর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলীয় প্রার্থী হামজা শেহবাজ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এই অধিবেশনের শুরুতে ইমরানের দলের এমপিরা ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে পিএমএল-কিউয়ের প্রধান চৌধুরী পারভেজ এলাহীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
৩৭১ আসনে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য ১৮৬ ভোটের দরকার হলেও হামজা শেহবাজ ১৯৭ ভোট পেয়েছেন। ইমরানের দল ছেড়ে আসা এমপিরা ভোট দেওয়ায় হামজা বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
এদিকে, পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকারের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।